ভুক্তভোগী ওই গৃহবধুর মোবাইল থেকে গৃহবধুর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি হাতিয়ে নিয়ে তা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের হুমকি দিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় দোকানের কর্মচারী সাইফ উদ্দীন।
এ অভিযোগে কর্মচারী সাইফ ও দোকান মালিক চপলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানান, দুই মাস আগে গাংনী বাজারের কাথুলী মোড়ে অবস্থিত চপল মোবাইল সেন্টারে একটি মোবাইল ফোন মেরামত করতে দেন ওই গৃহবধূ। সে সময় তাকে আধা ঘন্টা সময় লাগবে বলে পরে এসে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যেতে বলেন। গত চার দিন আগে গৃহবধূর একটি ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে ওই গৃহবধুর কাছেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো হয় এবং ফেসবুকে গৃহবধুর ছবি থাকলেও আইডির নাম দেওয়া হয় নাবিল খান। তখন ভুক্তভোগী গৃহবধূ কিছু বুঝে উঠতে না পেরে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করলে তার মেসেঞ্জারে বিভিন্ন ধরনের স্বামীর সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। বিষয়টি ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার পরিবারকে জানালে তারা মেহেরপুর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যান এবং গাংনী থানায় একটি জিডি করেন।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে গৃহবধু পক্ষের লোকজন ফুঁসে ওঠে। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে পরিবারের লোকজন সুকৌশলে চপল মোবাইল সেন্টারের কর্মচারী সাইফ উদ্দীন ও মালিক চপল হোসেনকে প্রমাণসহ হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হয়।
পরে গাংনী থানার পুলিশ এসে চপল মোবাইল সেন্টারের মালিক চপল ও তার দোকানের কর্মচারী সাইফ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়।