মেহেরপুরে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গল দেখিয়ে ইট ভাটায় প্রকাশ্যে চলছে কাঠ পুড়ানোর মহা-উৎসব। সেই সাথে চলছে অবৈধ ভাবে ইট ভাটার ব্যবসা। হুমকিতে লোকালয় ও কৃষিজমি। মেহেরপুরের ৩টি উপজেলার একটি ভাটাতেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার অভিযান পরিচালিত হয়নি। কয়লা দিয়ে ইট পুড়ানোর আইন থাকলেও প্রকাশ্যে ইটভাটা গুলোতে চলছে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির কাজ। কাটা হচ্ছে ফসলী মাটি। লাগামহীন ভাবে চলছে গাছ পুড়ানোর মহা-উৎসব। কিছু জায়গায় আবার ইটের ভাটাতেই বসানো হয়েছে কাঠ কাটা কল। আবার কিছু জায়গায় স্কুলের পাশেই গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। অবৈধ এসব ভাটা গুলো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেদারসে চালাচ্ছে ইটের ভাটা, বিষয় টি নিয়ে গত ২৫ শে ডিসেম্বর দৈনিক সকালের খোঁজখবর প্রত্রিকায় ও ২৬ শে ডিসেম্বর দৈনিক আমার বার্তা, দৈনিক দেশতথ্য, দৈনিক আরশীনগর, দৈনিক আমাদের সংবাদ ও দৈনিক কুষ্টিয়া দর্পণ পত্রিকায় ‘মেহেরপুরে অবৈধ ইট ভাটায় অবাধে পুড়ছে কাঠ, স্থানীয় প্রশাসন নিরব’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় প্রশাসনের। এরপরই শুরু হয় ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। আজ সোমবার (২৬ শে ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমদিনের অভিযানে লাইসেন্স না থাকায় গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া নামক স্থানে অবস্থিত আরএসবিসি, ফাইভ স্টার ও মোয়াজ ব্রিক্স নামে ৩টি ভাটায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোসুমী খানম সাংবাদিকদের বলেন, চলতি সৌসুমে বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিক কোন অনুমোদন ছাড়াই ইট প্রস্তুত ও বিপনন করে আসছে যা আইনের পরিপন্থী। ফলে এ অভিযান চালানো হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ জাতীয় আরো খবর..