1. meheralibachcu@gmail.com : Meher Ali Bachcu : Meher Ali Bachcu
  2. anarulbabu18@gmail.com : Anarul Babu : Anarul Babu
  3. mahabub3044@gmail.com : Mahabub Islam : Mahabub Islam
  4. dainikmeherpurdarpon@gmail.com : meherpurdarpon :
  5. n.monjurul3@gmail.com : monjurul : monjurul
  6. banglahost.net@gmail.com : rahad :
মেহেরপুরে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর রসের ঐতিহ্য। - দৈনিক মেহেরপুর দর্পণ
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
আন্দোলনরত যারা আছেন তারা সবাই ঘরে ফিরে যান: সেনাপ্রধান ডিবি প্রধানের দায়িত্ব পেলেন গাংনীর কৃতি সন্তান আশরাফুজ্জামান। মেহেরপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ। মেহেরপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ। মেহেরপুরের গাংনীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। গাংনীতে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত। মেহেরপুরে অনাবৃষ্টিতে পাট পচন নিয়ে বিপাকে চাষীরা। মেহেরপুরের গাংনীতে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারী নিহত। গাংনীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি উদ্ধার। গাংনীতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত।

মেহেরপুরে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর রসের ঐতিহ্য।

Mahabub Islam
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৪৫ বার পঠিত

খেজুরগাছ, শীতের সঙ্গে রয়েছে যার নিবিড় সম্পর্ক। শীতকালে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ থেকে পাওয়া যায় সুমিষ্ট রস ও সুস্বাদু গুড়। কিন্তু বর্তমানে খেজুর গাছের কদর নেই। এ গাছকে ঝোপঝাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কোথাও বা ইটভাটার উৎকৃষ্ট জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মেহেরপুর-জেলার উপজেলাগুলোতে শীতের সকালে এক দশক আগেও চোখে পড়তো রসের হাড়ি ও খেজুর গাছ কাটার সরঞ্জামসহ গাছির ব্যস্ততার দৃশ্য। সাত সকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি হাকডাক দিতেন। গ্রামেগঞ্জে বাড়ি বাড়ি খেজুরের রস বিক্রি সাধারণ ব্যাপার ছিলো। আর এখন হাট বাজারেও মেলে না রসের দেখা৷

ঐতিহ্যগতভাবে এক গ্লাস খেজুরের রস পান করতে ইচ্ছে জাগে রসনা বিলাসীদের। এছাড়া খেজুরের রস দিয়ে তৈরি মেহেরপুরের ঝোলা গুড়ের নাম রয়েছে দেশব্যাপী। তবে গ্রামবাংলার এ দৃশ্য এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। এর প্রধান কারণ বিভিন্ন কারণে খেজুর গাছ নিধন। এতে দিনে দিনে মেহেরপুরে কমছে খেজুরের গাছ।

কয়েক বছর আগেও শীতের সকালে রসের হাঁড়ি নিয়ে গাছিরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। এখন আর সেই দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। বর্তমানে নানা অজুহাতে কেটে ফেলার কারণে বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। সে কারণে শীতে আর মেলে না খেজুর রস। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাসহ বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ এবং ‘গাছী’ নামক শিল্পীরা৷ সেই-সাথে দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছে শীতকালীন ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস। তাছাড়া রাক্ষুসে ইটভাটার রাহু গ্রাসের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিন দিন খেজুর গাছ বিলুপ্তির পথে। গ্রামবাংলার মাঠে আর মেঠোপথের ধারে কিছু গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য এই খেজুরগাছ আজ অস্তিত্ব সঙ্কটে। যে হারে খেজুরগাছ নিধন হচ্ছে সে তুলনায় রোপণ করা হয় না।

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের গোলাম মিয়া জানান, গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এক সময় এ জেলা খেজুর রসের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এখন গাছ যেমন কমে গেছে তেমনি কমে গেছে গাছির সংখ্যাও। ফলে প্রকৃতিগত সুস্বাদু সে রস এখন আর তেমন নেই। তবুও কয়েকটা গাছের পরিচর্যা করে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের খাইরুল ইসলাম জানান, খেজুর গাছের সংখ্যা কম হওয়ায় গাছিরাও খেজুর রস সংগ্রহে বিমুখ। অনেক গাছিরা নিজেদের পেশা পরিবর্তন করেছেন। আমার বাড়ির পাশের বাগানের জমিতে ৪টি খেজুর গাছ রয়েছে, গাছীর অভাবে এবার গাছ চাঁছা বা কাটা সম্ভব হয়নি। ফলে খেজুর রস থেকে এবার বঞ্চিত হয়েছি।

জেলার একাধিক গাছীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খেজুরের গাছ কমে যাওয়ায় তাদের চাহিদাও কমে গেছে। আগে এই কাজ করে ভালোভাবেই সংসার চালাতেন। এমনকি আগে যে আয় রোজগার হতো তাতে সঞ্চয়ও থাকতো, যা দিয়ে বছরের আরো কয়েক মাস সংসারের খরচ চলতো। তিনারা আরো জানান, এইতো কয়েক বছর আগে এক হাড়ি খেজুর রস বিক্রি করতাম ২০ টাকা। এখন খেজুর গাছ না থাকায় সে রসের দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০-২০০ টাকা। গুড়ের দামও বেড়েছে ১০গুন। এমতাবস্থায় তালগাছ রোপনের মতো খেজুর গাছ রোপণে সরকারি-বেসরকারি প্রচারণা থাকলে খেজুর গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারতো, তা না হলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খেজুর গাছের রস, হারিয়ে যাবে গ্রাম বাংলার আরো একটি ঐতিহ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Bangla Webs