মেহেরপুর শহরের কাথুলি সড়কে মালিথা ফার্ণিচার কারখানায় অগ্নিকান্ড ঘটেছে। আগুনে পুড়ে গেছে কমপক্ষে ১৫ লক্ষ টাকার ফার্ণিচার। বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায়। কারখানার মালিক ও এলাকাবাসীর ধারণা শত্রুতা পূর্বক কেউ রাতের আঁধারে কারখানাটিতে আগুন লাগিয়েছে। মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এলাকাবাসীরা জানান, রাত ৩টার দিকে কাথুলি সড়ক দিয়ে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। ট্রাকের চালক প্রথমে এ কারখানায় আগুনের শিখা দেখতে পান। তিনি একটানা ট্রাকের হর্ণ বাজাতে থাকেন এবং কারখানার পাশ্ববর্তী বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকতে থাকেন। তার ডাকাডাকিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বাড়ির মালিক। এরপর একে একে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। প্রথমে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেয়ার জন্য ফোন নম্বর না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি জানান তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর কর্মীরা সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় কমপক্ষে ১৫ লক্ষ টাকার ফার্ণিচার।
ফার্ণিচারের মালিক সোহাগ মালিথা জানান, তার কারখানার মিস্ত্রিরা সন্ধ্যার আগেই কাজ শেষ করে তালা লাগিয়ে চলে যায়। তবে ডিজাইন মিস্ত্রি একটি কক্ষে রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত কাজ করেন। এরপর তিনি মহল্লার নাইট গার্ডকে জানিয়ে বাসায় চলে যান। ভোর ৫টার দিকে এলাকাবাসী মোবাইল ফোনে জানায় কারখানায় আগুন লেগেছে। কারখানায় গিয়ে তিনি দেখেন, ফার্ণিচার মালিকদের ডেলিভারী দেয়ার জন্য রাখা খাট, দরজার পাল্লা ও চৌকাঠ, জানালার পাল্লা ও চৌকাঠ, ডাইনিং টেবিল সহ আরও অনেক ফার্ণিচার এবং ১শ ৫০ সিএফটি সাইজ কাঠ একটি শেডের নিচে রাখাছিল, সেই ফার্ণিচার গুলোর সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ১৫ লক্ষ টাকা হবে বলেও তিনি জানান।
মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ সহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। তবে অগ্নিকান্ডের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব হচ্ছেনা। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।