মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি (বিএডিসি) ডাল ও সব্জি বীজ খামারটি এখন বিনােদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
খামারে চাষকৃত সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে ও ছবি তুলতে ভিড় করছেন হাজারো ফুল প্রেমীরা। প্রকৃতির এমন অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রতিদিনই সূর্যমূখী ফুলের উঁকি মারার দৃশ্য দেখতে আসছেন প্রকৃতি প্রেমী ও তরুণ-তরুনীরা। দল বেঁধে বন্ধু-বান্ধবী কেউ বা পরিবার পরিজন নিয়ে সূর্যমূখী ফুলের বাগানে সেলফি বা ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সূর্যমুখী ফুলের ছবি দেখে গত এক সপ্তাহ ধরে সেখানে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। পার্শ্ববর্তী জেলার দর্শনার্থীরাও মাইক্রোবাস-কার ও মোটরসাইকেল-যোগে ছুটে আসছেন।
সূর্যমুখী ফুল দেখতে আসা এক কলেজ ছাত্রী প্রিয়া বলেন, এতাে সুন্দর মনােরম দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে এখানেই থেকে যায়।
স্থানীয় আমঝুপি গ্রামের এক দর্শনার্থী জানান, এতো বড় সূর্যমুখীর বাগান আমি আর কোথাও দেখিনি। নিজের এলাকায় এতো সুন্দর দৃশ্য না দেখে কি থাকা যায়। তাই পরিবারসহ এসেছি।
খামার কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বছর জুড়ে নানা ধরণের ডাল ও সবজির বীজ উৎপাদন হয়ে আসছে আমঝুপি বিএডিসির এই খামারে। উদ্দেশ্য সূর্যমূখীর তেল ও বীজের চাহিদা পূরণের জন্য এই চাষের উদ্দ্যোগ। কয়েক বছরে সোস্যাল মিডিয়ার বদৌলতে কৃষি খামার ফুল প্রেমিদের পদচারণায় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দু’চোখ যতদূর যায় শুধু ফুলের সমারাহ, এ যেন হলুদ আর সবুজের মিলন মেলা। বাতাসে দোল খেয়ে ফুলগুলো যেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সৌন্দর্য উপভোগ করার। ফুলের এই আমন্ত্রণে দিনভর এই সূর্যমুখী বাগানে ভিড় করছেন কয়েক হাজার মানুষ। দুপুরের পর থেকেই সূর্যমুখী বাগান নানান বয়সী মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
সূর্যমুখী ফুলের এ বাগানটি এখন সৌন্দর্য প্রেমীদের কাছে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সূর্যের মতো হাঁসি দেওয়া হলুদ গালিচা ছড়ানো ফুলের সৌন্দয্যে আকৃষ্ট হয়ে প্রতিদিন বাগানে ভিড় করছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। কেউ আবার প্রিয় মুহূর্তকে মোবাইলফোনের ভিডিওতে স্মৃতি হিসেবে ধারণ করে রাখছেন। প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে ফুলের সৌন্দর্য আর সৌরভ গ্রহণ করে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন বিনোদন প্রিয় দর্শনার্থীরা। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আসছেন, কেউ বা আসছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। শুধু মেহেরপুর জেলার মানুষই এই সৌন্দর্য উপভোগ করছেন না আশেপাশের জেলা থেকেও আসছে দর্শনার্থী। ফুলের সৌরভ উপভোগ করে খুশি দর্শনার্থীরা।
খামারের উপ-সহকারী পরিচালক আবু তাহের সরদার জানান, গত কয়েক বছর ধরে এই বীজ খামারে সূর্যমুখীর বীজ তৈরীর জন্য আবাদ করা হয়। যখন ফুল ফোটে তখন দর্শনার্থীরা ভীড় করে। দর্শনার্থীরা যাতে ফুলের ক্ষতি না করে তার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে। তিনি আরো বলেন, দর্শনার্থীরা ফুল দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে সূর্যমুখী চাষে।