মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামে ছেলের আত্মহত্যা সইতে না পেয়ে মোছাঃ বছিরন নেছা ওরফে বিউটি খাতুন নামের এক মা আত্মহত্যা করেছেন। ৩ সন্তানের জননী বছিরন নেছা ভবরপাড়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী রমজান আলীর স্ত্রী। তার ছেলের নাম মোঃ রাসেল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালের দিকে বাড়ির পাশে সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস আলী (বগার) একটি আম গাছ থেকে বছিরন নেছার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলশ।
স্থানীয়রা জানান, বছিরনের ছোট ছেলে মোঃ রাসেল (১৮) পারিবারিক কলহের জের ধরে গত এক সপ্তাহ আগে নিজ বাড়িতে আগাছা নাশক বিষপান করেন। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। এসময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে, কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন, এদিকে তার অবস্থা আরো আশংকাজনক হওয়ায় মেহেরপুর সদর হাসপাতালের কতব্যরত চিকিৎসক রাজশাহীতে রেফার্ড করেন। রাজশাহীতে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বুধবার (২৯ মার্চ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেহেরপুর শহরে পৌঁছানোর পরেই তার মৃত্যু হয়।
এদিন রাত ১০টার দিকে ভবরপাড়া গ্রামে রাসেল এর জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। দাফনের পরেই তার মা বছিরননেছা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। এসময় পরিবারের লোকজন রাতে খোঁজাখুজি করে ব্যর্থ হন।
পরের দিন সকালের দিকে বাড়ির পাশে সাবেক ইউপি সদস্য জনৈক ইউনুস আলী বগার একটি আমগাছে পথচারীরা ঝূলন্ত অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন মুজিবনগর থানা পুলিশকে খবর দেয়, খবর পেয়ে মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে বছিরন নেছা গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।
এদিকে, বছিরন ও তার ছেলের মৃত্যুতে স্বামী ও ২ মেয়ের কান্না যেনো থামছেই না। তাদের শান্তনা দিতে গিয়ে অনেককেই আশ্রুসিক্ত অবস্থায় দেখা গেছে।