প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়াতে আমি মনে করি, আমাদের বিমানবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষ ও সুপ্রশিক্ষিত হবে। বুধবার (১৬ মার্চ) যশোরে বাংলাদেশে বিমানবাহিনীর বহরে গ্রোব জি-১২০টিপি প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তিনি।
বিমানবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু আমাদের দেশ না, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও শান্তি রক্ষায় আমাদের বিমানবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সেখানে ভূমিকা রাখছে। কাজেই আমি মনে করি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয়; সে জন্য আমাদের বৈমানিক, সেনা সদস্যদের প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রেনিং পাক সেটার ওপর আমি সব সময় গুরুত্ব দিই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিমানবাহিনীতে নতুন বিষয় যুক্ত হবে। খুব শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে, ইয়ার ডিফেন্ড সিস্টেম, ইন্ট্রেগেশন সিস্টেম, অ্যাটাক হেলিকপ্টার।
বিমানবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রশিক্ষণ নয়, প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি ও শিল্পায়নের সমন্বয়ে শিল্পনির্ভর জাতী হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য বিমানবাহিনী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিমানবাহিনী উদ্ধার কাজ করে। কোভিডকালে অসুস্থ মানুষকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ও বিমানবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭৭ সালে যখন মেজর জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিমানবাহিনীর প্রায় ৬০০ সৈনিককে হত্যা করা হয়েছিল। ২১ বছর পর সরকারে এসে আমরা বিমানবাহিনীকে নতুন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিই। বিমানবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ধরনের উন্নয়ন এবং সরঞ্জাম সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।