ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশিটির দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্র পূর্ব এশিয়ার কোনো দেশের জন্য বিপদের কারণ হবে না। গত বছরের (২০২৩) নভেম্বরে দেশটির গুপ্তচর-উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর পর থেকে থেকে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা অনেকটাই বেড়েছে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে এই পরীক্ষা চালানো হয়। এর সঙ্গে হাইপারসনিক ম্যানুভারেবল কন্ট্রোলড ওয়ারহেড ছিল। সিওলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বিবৃতিতে জানানো হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি এক হাজার কিলোমিটার দূরে ইস্ট সি-তে গিয়ে পড়ে। সিওল, ওয়াশিংটন ও টোকিওর বিশেষজ্ঞরা এখন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা কেএনসিএ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া মধ্যবর্তী সলিড ফুয়েল ব্যালেস্টিক মিসাইল সফলভাবে পরীক্ষা করেছে।
‘উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরি করে সেটির পরীক্ষা করেছে’ উল্লেখ করে বার্তাসংস্থাটি আরও জানায়, প্রতিবেশী কোনো দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো যোগ নেই।
পিয়ং ইয়ং নভেম্বরে জানিয়েছিল, তারা মধ্যবর্তী নতুন সলিড ফুয়েল ই়ঞ্জিনের ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করবে। ডিসম্বরের মাঝামাঝি উত্তর কোরিয়া হসং ১৮ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। তারপর এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হলো।
এই সলিড ফুয়েল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হলো উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আঘাত হানতে পারবে।
নভেম্বরে উত্তর কোরিয়া মহাকাশে একটি গুপ্তচর উপগ্রহ পাঠায়। তখনই তারা ঘোষণা করে, পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হবে। এই নিয়ে ওই অঞ্চলে প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা তখন বলেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচন হবে এপ্রিলে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে নভেম্বরে। দুইটি নির্বাচনের আগে উত্তর কোরিয়া ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করে দেখবে।