প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত রাখতে করতোয়াসহ আন্তসীমান্ত নদীসমূহ প্লাস্টিকমুক্তকরণ করতে প্লাস্টিকের সংযমী, বিকল্প ও সচেতন ব্যবহারের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনরা। পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্চ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জলবায়ূ পরিবর্তন বিষয়ক তৃনমূল সংগঠন “সিক্ত বাংলাদেশ‘ ও ইনভ্যাকশন এর আয়োজনে আজ (১৩ই জানুয়ারী) “Regional Consultation on Transboundary River Plastic Pollution in Panchagarh” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তরা এ আহ্বান জানান।
দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিকসহ উপস্থিত জনপ্রিতিনিধি, তরুণ সংগঠনের প্রতিনিধিসহ অংশীজনগণ প্লাস্টিক ব্যবহার কমানোসহ নিজ নিজ উদ্যেগে প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন । আন্তসীমান্ত নদীসমূহ প্লাস্টিকমুক্তকরণ করে বিশ্বমানের দেশ গড়ার লক্ষে তরুণরা আজ বেশ সচেতন এবং মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের জরিপসহ নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের অংশগ্রহণ বেড়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব সস্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান বক্তারা। “সিক্ত বাংলাদেশ”এর পরিচালক মোঃ মাহাবুল আলম তামিমের সঞ্চালনায় হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহামুদুল হক এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ রিতু আক্তার অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্রোগ্রামের মডারেটর হিসেবে ছিলেন আমানুল্লাহ পরাগ, ইয়ুথ এঙ্গেজমেন্ট কো-অরডিনেটর, ইনভ্যাকশন, অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তামিনা জামান খান, হেড অব সাস্টেনেবিলিটি, “মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক। উক্ত মতবিনিময় আরো উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর নেপাল চন্দ্র রায়, মোঃ শফিকুল আলম লবা এবং লুতফা বেগম। ‘সিক্ত বাংলাদেশ‘ এর প্রোগ্রাম কোঅরডিনেটর হাবিবা জাহান বিথী মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। পঞ্চগড় জেলার বিডি ক্লিন, ভিবিডি, হিউমানিটি অর্গানাইজেশন, বাজার কমিটি, ক্লিনার, প্লাস্টিক ক্রেতা সহ বিভিন্ন সেক্টরের ৬০ জন যুব, সমাজ কর্মী, সমাজসেবক উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং তারা বাংলাদেশের নদীসমূহের দূষণের কারণসমুহ এবং দূষণরোধে করণীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।মতবিনিময় সভার আয়োজনে সহযোগিতা করছে “যন্টা ক্লাব ঢাকা ৪”, “মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক” এবং ইএসআরআই।