উত্তর আফ্রিকার দেশ নাইজারে যে কোনো সময় বেঁধে যেতে পারে যুদ্ধ। গত বুধবার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অবরুদ্ধ করে দেশটির ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর কিছু অফিসার। এরপর শুক্রবার প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান জেনারেল আব্দুররহমান চিয়ানি আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র শাসনভার গ্রহণ করেন।
রোববার (৩০ জুলাই) পূর্ব আফ্রিকার ১৫ দেশের জোট ইকোনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোয়াস) হুমকি দিয়েছে, সাতদিনের মধ্যে মোহাম্মদ বাজোয়ামের হাতে আবারও ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে হবে। নয়ত অভ্যুত্থানকারী সেনা অফিসারদের বিরুদ্ধে যৌথ সামরিক অভিযান চালানো হবে। আর এমন হুমকির পর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে কোনো সময় দেশটিতে যুদ্ধ বাঁধতে পারে।
ইকোয়াসের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হলেও রোববার অভ্যুত্থানকারী সেনাদের পক্ষ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী নিয়ামেতে সমাবেশ করেন। তারা ফ্রান্সের দূতাবাসে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। অপরদিকে রাশিয়ার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এমন ঘটনার পর ফ্রান্স হুমকি দিয়েছে তাদের নাগরিক ও অবকাঠামোর ওপর হামলা হলে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
১৫ দেশের জোট ইকোয়াস নাইজারের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকি দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, ইকোয়াস অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে। নাইজারে এক সপ্তাহের মধ্যে সংবিধানের শাসন ফিরিয়ে দিতে হবে। আর এটি না করা হলে সংবিধানের শাসন পুনর্স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার মধ্যে থাকবে সামরিক অভিযানও। সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা ঠিক করতে সেনাপ্রধানরা অতি শিগগিরই বৈঠকে বসবেন।
নাইজারের ক্ষমতা দখলকারী সেনারা অবশ্য ইতোমধ্যে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে।এ ব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে জান্তা মুখপাত্র কর্নেল আমাদু আব্দররমান বলেছেন, ইকোয়াসের বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো— অন্যান্য আফ্রিকান দেশ এবং পশ্চিমাদের নিয়ে—নাইজারের বিরুদ্ধে একটি সামরিক হস্তক্ষেপের অনুমোদন দেওয়া। মাতৃভূমিকে রক্ষায় আমাদের দৃঢ় চেতনার ব্যাপারে আমরা ইকোয়াসসহ অন্যান্যদের আরেকবার মনে করিয়ে দিতে চাই।