ভিজিডির চাল বিতরণের সময় অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আসমা খাতুন নামের এক মহিলা মেম্বরকে পিটিয়ে ও গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায় আকতারুল ও লিখন নামের দুই যুবক। ওই মহিলা মেম্বরকে ইউপি ভবনের সামনে রাস্তায় ফেলে এ ঘটনাটি ঘটায়। মুমুর্ষবস্থায় তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদে। জানা গেছে, ভোমরদহ গ্রামের আইউল ফকিরের ছেলে আকতার ও ইউপি সদস্য শাবানের ছেলে লিখন বিভিন্ন জনের আইডি কার্ড সংগ্রহ করে ভিজিডির চাল নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় প্রতিবাদ করেন মহিলা মেম্বর আসমা খাতুন।
বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানকে জানালে ওই দুই যুবক ফুঁসে উঠে এবং সুযোগ বুঝে মহিলা মেম্বরকে চুলের মুঠি ধরে পিটিয়ে ও রাস্তার উপর ফেলে মারাত্মক আহত করেন। তারা আসমা খাতুনের গলায় পা তুলে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় আসমা খাতুনের মুখ নাক ও মাথা কেটে ও থেতলিয়ে যায়। টের পেয়ে অন্যান্য ইউপি মেম্বররা এগিয়ে গেলে আকতারুল ও লিখন পালিয়ে যায়।
মেম্বররা মুমুর্ষাবস্থায় আসমা খাতুনকে চিকিৎসার জন্য গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি ঘটার সময় তিনি ও অন্যান্য মেম্বররা বৈঠকে ছিলেন। হঠাৎ করেই দুজন ছেলে এ ঘটনা ঘটায়। অন্যের কার্ডে চাল নেয়ার প্রতিবাদ করায় আকতারুল ও লিখন ওই মহিলা মেম্বরকে পিটিয়ে আহত করেছেন। এঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, বিষয়টি শুনেছি।