মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় এলজিএসপি-৩, প্রকল্পের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নওদাপাড়া গ্রামের হঠাৎ পাড়া পিচ রাস্তার খালেকের বাড়ী হতে কোরবান আলীর বাড়ি অভিমুখের রাস্তা দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দে (এইচবিবি) করণ করা হয়। উক্ত রাস্তাটি ওই এলাকায় অবস্থিত কবরস্থানে প্রবেশের ও বেশকিছু পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র পথ। বর্তমানে লোকজনের যাতায়াতে ব্যবহারের এই রাস্তায় প্রাচীর ও গেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কবরস্থান কমিটির কিছু অসাধু ব্যক্তি। ইতিমধ্যে সেখানে প্রাচীর নির্মাণের কাজও চলমান। করবস্থানের প্রবেশ পথের রাস্তায় প্রাচীর ও গেট নির্মাণ করার ফলে এলাকার বেশ কিছু সাধারণ মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ-টি বন্ধ হলে, চরম ভোগান্তিতে পড়বে ওই এলাকার অন্তত ১০টি পরিবারের লোকজন।
সরেজমিনে বুধবার নওপাড়া গ্রামের হঠাৎ পাড়ায় গেলে স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, কবরস্থানের স্বার্থে আমাদের ব্যক্তি উদ্যোগে কবরস্থানের প্রবেশপথ ও আমাদের যাতায়াতের জন্য রাস্তার জমি ক্রয় করা হয় এবং উক্ত প্রবেশ পথের রাস্তা সরকারি ভাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে (এইচবিবি) করণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে কবরস্থান কমিটির কিছু অসাধু ব্যক্তি ক্ষমতার জোরে ও আমাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রবেশ পথের চারিপাশে প্রাচীর নির্মাণ করছে ও প্রবেশ পথের প্রথম মাথায় গেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হওয়ার হুমকির সম্মুখীন এখন আমরা অন্তত ১০টি পরিবারের লোকজন।
এবিষয়ে কবরস্থান কমিটির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে বেশ কয়েকজন সদস্য জানান, রাস্তায় প্রাচীর ও গেট নির্মাণ করে লোকজনের চলাচলের পথ বন্ধ হক আমরাও এমন টা চায় না। তবে এই রাস্তায় কেন প্রাচীর ও গেট নির্মাণ করা হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, কমিটিতে আমরা ৪০জন সদস্য রয়েছি রাস্তায় প্রাচীর ও গেট নির্মাণের সিদ্ধান্তে সবার মতামত নেওয়া হয়নি। এমনকি সভাপতি, সেক্রেটারি কে আড়ালে রেখেই, সমজান, রাজ্জাক, ইদু, মচলেম ও পাঞ্জাব এই ৫জন সদস্য মিলে কবরস্থানের প্রবেশ পথের ও এলাকার কিছু লোকের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তায় প্রাচীর ও গেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সামাজিক দৃষ্টিতে যা মোটেও কাম্য নয়।
এবিষয়ে উক্ত এলাকার ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমিও রাস্তায় প্রাচীর ও গেট নির্মাণের সিদ্ধান্তে একমত নয়। ভুক্তভোগীরা আমাকে ও ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেছে এবং আমি রাস্তায় প্রাচীর ও গেট নির্মাণ করতে নিষেধ করেছি।
এবিষয়ে উক্ত ইইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ (গ্রহণ) করেননি।