মেহেরপুরের গাংনীতে ব্যাংক এজেন্ট খাদেমুল হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারী বকুল হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার (২২ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে বকুল মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন। বকুল হোসেন মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর এলাকার বাসিন্দা হলেও শশুরবাড়ি গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জুগিন্দা গ্রামে বসবাস করেন। নিহত খাদেমুল মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের মিনারুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টার দিকে খাদেমুল ৪৬ লাখ টাকা নিয়ে একটি মোটরসাইকেল যোগে কোমরপুর বাজার থেকে আমঝুপি হয়ে গাংনী শহরের দিকে আসার পথ্যে গাঁড়াডাব-খোকসা গ্রামের মধ্যেবর্তি সড়কে প্রকাশ্যে দিবালোকে মোটরসাইকেল যোগে আসা ছিনতাইকারীরা তার গতিরোধ করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। এসময় তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খাদেমুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩০। তারিখ ২৭-০৮-২০২১ ইং। এ মামলার দুজন আসামী গ্রেপ্তার হলেও অপর মুল পরিকল্পনাকারী বকুল দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি মুল পরিকল্পনাকারী বকুলের। মোটরসাইকেলটি বকুলের জামাতা পুলিশ সদস্য’র বাড়ি ষোলটাকা ইউপির সহড়াবাড়িয়া থেকে জব্দ করে পুলিশ ।