মেহেরপুরের গাংনীতে বৃদ্ধা নানী মমতাজ বেগমের বয়স্ক ভাতা আর প্রতিবন্ধী মুসলিমা খাতুনের প্রতিবন্ধী ভাতায় কোনরকমে চলে সংসার। কিন্তু প্রতিবন্ধী মুসলিমা হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধা নানী। মুসলিমা’র ভাই গরীব ও অসহায় সেলিম রেজা প্রতিবন্ধী বোনের চিকিৎসা সেবার জন্য কষ্টার্জিত সকল অর্থ শেষ করে নিজের সংসার চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। এমতবস্থায় প্রতিবন্ধী মুসলিমা’র চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভাই সেলিম রেজা।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া এলাকার ছাকারউদ্দীন ও বিলকিস রাবেয়ার বড় মেয়ে মুসলিমা। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ও দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মা-বাবা দু’জনেই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চির বিদায় নেন।
এর পর থেকেই মুসলিমাকে দেখাশোনার কেউ না থাকায় ও মুসলিমা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের হাজীপাড়াতে মরহুম আলফাজ উদ্দীনের স্ত্রী নানী মমতাজ বেগমের বাড়িতে বসবাস করেন মুসলিমা। যিনি বর্তমানে শিমুলতলা গ্রামের ভোটার। বৃদ্ধা নানীর বয়স্ক ভাতা, মুসলিমা’র প্রতিবন্ধী ভাতা আর তার ভাই সেলিম রেজা’র সহযোগিতায় কোনরকমে দিনাতিপাত করলেও সম্প্রতি প্রতিবন্ধী মুসলিমা অসুস্থ্য হলে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধা নানী ও সেলিম রেজা। মুসলিমা’র কোমরের হাড় বৃদ্ধি পাওয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত সে। গত ১৪ মার্চ থেকে অসুস্থ্য থাকায় মুসলিমা’র চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অবশেষে উপায় না পেয়ে বোনকে বাঁচাতে ভাই সেলিম বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে প্রথমে গাংনী উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্স পরে আলমডাঙ্গার হারদী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় মুসলিমাকে। মুসলিমাকে দেখা শোনার লোকজন না থাকায় আবারও ধারদেনা করে কুষ্টিয়া সনোতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে শিমুলতলা ফেরেন মুসলিমা। ডাঃ বলেছে প্রতিবন্ধী মুসলিমা’র কোমরের হাড় অপারেশনসহ পেটের যন্ত্রণা এবং শরীরের জ্বালাপোড়া নিরাময়ে প্রায় ২ লাখ টাকার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ভাই সেলিমের সামর্থ্য নেই বোনের চিকিৎসা করানোর। গত কয়েকদিনে বোনের চিকিৎসা করাতে নিজের সকল অর্থসহ ধার-দেনা করে পথে বসার উপক্রম হয়েছেন তিনি। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বোনের উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্তু উপায় নেই কারণ এমন কেউ নেই যার কাছে আবারও ধার-দেনা করে বোনের চিকিৎসা খরচের টাকার যোগান দেবে।
ভাই সেলিম রেজা প্রতিনিধিকে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সকল কিছু শেষ করে চিকিৎসা করিয়েছি বোনের। এখন আর অর্থের অভাবে সম্ভব হচ্ছেনা। বোনের কান্নাও সহ্য করতে পারছিনা। এমতবস্থায় সেলিম তিনার বোন প্রতিবন্ধী মুসলিমা’র চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান, এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, প্রবাসী ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কিছুটা হলেও অর্থ সহায়তা দিয়ে প্রতিবন্ধী বোনের পাশে থাকার জন্য। প্রয়োজনে সেলিমের সাথে যোগাযোগ ও আর্থিক সহযোগিতার জন্য মোবাইল ও বিকাশ নং- 01725731836
পবিত্র এই রমাদানে বিষয়টি গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করে সকলকে আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মুসলিমা’র ভাই সেলিমসহ প্রতিবেশীরা।