1. banglawebs.bd@gmail.com : banglawebs :
  2. b4newstv@gmail.com : meherali :
  3. info@dainikmeherpurdarpon.com : meherpurdarpon :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

সামরিক আইন জারি : ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

দৈনিক মেহেরপুর দর্পণ ডেক্স
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৩ ভিউ

আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়ে দেশের পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। এই পরিস্থিতিতে তার কী করনীয়— সে বিষয়ে নিজের রাজনৈতিক দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইউন সুক ইয়োল বলেন, “সম্প্রতি যা ঘটে গেল, সেজন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং সবার কাছে অন্তর থেকে ক্ষমা চাইছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য আমার দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা বিনা আপত্তিতে মেনে নেবো। আমি আর এই পদে থাকব কি না— সে ব্যাপারেও দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত থাকবে।”

প্রেসিডেন্টের ভাষণ শেষ হওয়ার পর পিপিপির শীর্ষ নেতা হান ডং হুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ ইস্যুতে দল কোনোভাবেই ছাড় দেওয়ার পক্ষপাতী নয়। হান বলেন, “প্রেসিডেন্ট তার পদে থাকা এবং দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাকে পদত্যাগ করতেই হবে। এটা আবশ্যিক।”

গত ৩ ডিসেম্বর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আকস্মিকভাবে দেশজুড়ে সামরিক শাসন জারি করেন ইউন সুক ইয়োল। ইউন বলেছিলেন, পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সমর্থক শক্তিগুলোর হাত থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং সংবিধানকে রক্ষা করতে সামরিক আইন প্রয়োজন। তবে ভাষণে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকির কথা উল্লেখ করেননি।

টেলিভিশনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন পার্লামেন্টের বিরোধী ও সরকারি এমপিরা। কারণ সামরিক আইন জারি হলে পার্লামেন্ট ও রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হবে এবং গণমাধ্যম ও প্রকাশকদের সামরিক আইন কমান্ডের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। পার্লামেন্টের ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা একযোগে প্রেসিডেন্ট ইউনের জারি করা এ ডিক্রি প্রত্যাখ্যান করেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন জারি ঘোষণার পরপরই হেলমেট পরা সশস্ত্র সেনারা জানালা ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। একই সময়ে পার্লামেন্টের ছাদের ওপরে চক্কর দিতে শুরু করে হেলিকপ্টার। পার্লামেন্টের কর্মীরা অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র থেকে গ্যাস স্প্রে করে সেনাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে প্রতিবাদকারীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন।

পার্লামেন্টের চাপের মুখে সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পরই তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন ইওল। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সামরিক আইন জারির পর মধ্যরাতেই মন্ত্রিসভা আইন বাতিল করার ব্যাপারে একমত হয়। এরপর বুধবার সকালে এমপি’রা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার আহ্বান জানান।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ইউন সুক ইয়োল সামরিক শাসন জারির পর দেশটির রাজনীতি যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল, গত কয়েক দশকে এমনটা দেখা যায়নি। বিরোধীদলীয় এক এক এমপি ইয়োনহ্যাপকে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করুন আর নাই করুন, আমরা তাকে অভিসংশন করব।”

সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2025
Theme Customized BY WooHostBD